ট্রাম্পকে 'শান্ত' করতে শুল্ক নিয়ে বাজেটে বড় ঘোষণা ভারতের, কাস্টমস ডিউটি কমল

শীঘ্রই আমেরিকা যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে শুল্ক ইস্যুতে রণংদেহী মূর্তি ধারণ রেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজই কানাডা, চিন এবং মেক্সিকোর ওপরে শুল্ক চাপানোর নির্দেশিকায় সই রেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক সময় ভারতকে আবার ‘শুল্ক রাজা’ বলে অভিহিত করেছিলেন ট্রাম্প। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ভারতের ওপরেও শুল্কের বোঝা চাপাতে পারে তাঁর প্রশাসন। এই সবের মাঝেই বাজেটে বাইক আমদানির ওপর শুল্ক কিছুটা কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে মার্কিন হারলে ডেভিডসন বাইকের শুল্ক কমবে। সেই পরিস্থিতিতে ভারতে হারলে ডেভিডসন বাইকের দাম কমলেও কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, হারলে ডেভিডসন বাইক আমদানির ওপর ভারতের শুল্ক নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল আমেরিকা। 

বাজেট প্রস্তাবে ঘোষণা করা হয়, ১৬০০ সিসি-র নীচের বাইকগুলির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। আগে এই হার ৫০ শতাংশ ছিল। এবারের বাজেটে তা এক ঝটকায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ১৬০০ সিসি-র ওপরের বাইকগুলির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কে আরও কাটছাঁট করা হয়েছে এবারের বাজেটে। এদিকে গাড়ি, বাইকের আমদানির ওপরে বেসিক কাস্টমস ডিউটি কমলেও এটা স্পষ্ট হয়নি কার্যকরী ডিউটি রেট বদলাবে কি না।

এর আগে ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে সম্প্রতি সিবিএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা এতটা বোকা দেশ নই যে এত বাজে করব। ভারতের দিকে দেখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে তারা কী করে দেখুন। মোটোরসাইকেলের ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। আমরা তাদের পণ্যের ওপর কোনও শুল্ক ধার্য করি না। যখন হারলে ভারতে বাইক পাঠায়, তখন সেগুলির ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। আর ভারত যখন এত এত বাইক পাঠায় এখানে, তখন আমরা কোনও শুল্ক ধার্য করি না। আমি তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে বলেছিলাম, এটা ঠিক হচ্ছে না। আমার একটা ফোনেই হারলের শুল্ক হার ৫০ শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে আমি বলেছিলাম, এটা এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ৫০ শতাংশ বনাম শূন্য। তারা বলে যে এটা নিয়ে তারা কাজ করছে।