আবার মুখোমুখি মহুয়া-দুবে! নয়া আয়কর বিল নিয়ে আলোচনায় কমিটিতে জায়গা দুই সাংসদ

লোকসভায় নয়া আয়কর বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিল পেশের পরেই সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছিল বিরোধীরা। মূলত, এই বিলকে ‘আরও জটিল’ আখ্যান দিয়ে সংসদ চত্বর ছাড়েন তাঁরা।

এবার সেই বিল নিয়ে আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের জন্য লোকসভায় ৩১ সদস্য-সহ সিলেক্ট কমিটি তৈরির ঘোষণা করলেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। আর সেই কমিটির মাথায় বসানো হল বিজেপি সাংসদ বৈজয়ন্ত পাণ্ডাকে। মোট ৩১ জন সদস্য নিয়ে তৈরি এই কমিটিতে ১৭ জনই ক্ষমতাসীন এনডিএ শিবিরের সাংসদ। যাদের মধ্যে আবার ১৪ জন রয়েছেন বিজেপির।

অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরের তরফে এই সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে মোট ১৪ জন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে ছ’জন কংগ্রেসের, সমাজবাদী পার্টির দু’জন। বাকি ডিএমকে, তৃণমূল, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী), এনসিপির শরদ পাওয়ার শিবির ও আরসিপির একজন করে সাংসদ রয়েছেন এই কমিটিতে। তৃণমূল থেকে সংসদীয় কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। এই কমিটিতেই আবার কিন্তু জায়গা পেয়েছেন, এককালে মহুয়ার সঙ্গে বিতর্কে জড়ানো বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবেও।

নতুন বিলে কী বদল?

অনেকেই আশা রেখেছিলেন, নতুন বিলের মাধ্যমে হয়তো আয়কর খাতে আরও কিছু নতুন ছাড়ের পথ তৈরি হবে। কিন্তু, বিল পেশের সময়ই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিলের মাধ্যমে আয়কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন আসবে না। বলা বাহুল্য, চলতি বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেটেই আয়করে মধ্যবিত্তদের বিরাট ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। মিলেছে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়।

তবে আয়কর বিলে কী সুবিধা হবে সাধারণের? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানাচ্ছেন, সহজ হবে আয়করের পরিভাষা। পুরনো আয়কর আইনে রয়েছে প্রায় ৮১৯টি ধারা, যা কমিয়ে নয়া বিলে করে দেওয়া হয়েছে ৫৩৬টি। এছাড়াও, বিল আইনে পরিণত হলে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আরও সহজ হবে। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, না বুঝে আয়কর নিয়ে আইনি সংঘাতে পড়ে যান বহু করদাতা। সেই সমস্যার সুরাহা করতেই নয়া বিলে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আইনি সংঘাত কমাতে নেওয়া হয়েছে বড় পদক্ষেপ।