Kalyani Blast: কারখানার ভিতরে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকা সত্ত্বেও সুরক্ষা ব্যবস্থা কি ঠিক ছিল না? কল্যাণীর কারখানা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
কল্যাণী বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নদিয়ার কল্যাণীর রথতলায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গোটা বাজি কারখানা উড়ে গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে কল্যাণী থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আতসবাজি তৈরির সময় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। তার ফলেই বিস্ফোরণ। খবর পেয়ে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণের ফলে কারখানার দেওয়াল ভেঙে পড়ে। তাতে কেউ আটকে রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থল।
রাজ্যে গত কয়েক বছরে একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ এবং উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানেও অন্তত সাত জনের প্রাণ গিয়েছিল। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন কল্যাণী।