Seikh Hasina :এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

থামল না অশান্তির ঘটনা (Bangladesh News)। ৫ অগাস্টের পর ফের হামলা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের (Seikh Mujibur Rahman) ধানমণ্ডির বাড়িতে। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ি। যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina)। 

এবার হুঁশিয়ারি হাসিনার গলায়
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ” ইতিহাস কিন্তু প্রতিশোধ নেয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গৌরবের ইতিহাস। এই ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না। আমি জানি এটা মুখে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংবিধানকে ধ্বংস করা, পতাকা ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। লাখো শহিদের রক্তে যে পতাকা পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি, সংবিধান পেয়েছি তা কেয়কজনি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেবে এখনও সেই শক্তি তাদের হয়নি। 

এটা তাদের দুর্বলতার প্রকাশ। তারা একটা দালান ভাঙতে পারে, তবে তারা ইতিহাসকে ধব্ংস করতে পারবে না। ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়, এটাও তাদের মনে রাখতে হবে। একবার মুছে ফেলা হয়েছিল পচাত্তরের পর। এখন আবার এটা শুরু হয়েছে। যারা এটা করছে, তারা তাদের হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। তাদের মনে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাটা পছন্দ হয়নি। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা , তাদের পদলেহন করাটাই তাদের মনে হয় পছ্ন্দ।

কোন বাড়িতে হামলা
এদিন সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মিছিল করে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা।বাড়ির গেট ভেঙে ঢুকে তাণ্ডব, ভাঙচুর, আগুন লাগায় তারা। এদিন ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে বাংলাদেশ, এরকমই হুঙ্কার দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর আগে ৫ অগাস্ট, ২০২৪ হাসিনা সরকারের পতনের পর ধানমণ্ডির বাড়ি ভাঙচুর হয়।

কী থেকে ভাঙচুর-আগুন
আজ শেখ হাসিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল। যা নিয়ে আওয়ামি লিগের তরফে প্রচার শুরু হয়। এরপরই বিরোধীদের তরফে স্লোগান ওঠে-‘গুড়িয়ে দাও তাড়াতাড়ি, ৩২ নম্বরের দালানবাড়ি’। বিদেশে থাকা বিএনপি, জামাতের তরফেও এই বিষয়ে প্রচার চালানো হয়। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন ওঠে, বিশ্ববাসী যখন এই ছবি দেখতে পাচ্ছে, তখন পুলিশ প্রশাসন বলছে, এই কর্মসূচির কথা জানতই না তারা।