মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে বিতর্ক। যোগেশ চন্দ্র চৌধুরি ল কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ। আর বাধা দিচ্ছে কে? তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলি। পুজোয় বাধা দিয়ে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরপরই চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। লিখিত অভিযোগ দায়ের অধ্যক্ষের কাছেও। তবে নিরুপায় অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তিনিও গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ করলেন সাব্বিরের বিরুদ্ধে। যদিও, অভিযুক্ত সাব্বিরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। টিভি ৯ বাংলা একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন তোলেননি তিনি।
এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। আদালতের নির্দেশে ক্যাম্পাসে ঢোকা বারণ বহিরাগতদের। তারপরেও চলছে লাগাতার তাণ্ডব চালাচ্ছে সাব্বির ও তাঁর দলবল বলে অভিযোগ । অভিযুক্তের ভয়ে কলেজে যেতে পারেন না খোদ অধ্যক্ষ। টিভি ৯ বাংলাকে সে কথা নিজেই জানালেন তিনি।
অধ্যক্ষ পঙ্কজবাবু বলেন, “গত বছর কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন দেখিনি। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। আছে অর্থনীতি। অর্থাৎ পয়সা খোলামকুচির মতো দাও। নয়ত ঝামেলা করবে। প্রথমে বলছিল নাকি আমি পুজো করতে দিইনি। গর্ভানিং বডি কলেজে পুজো করার জন্য নির্দিষ্ট টাকা দিয়েছে। কিন্তু সেটায় হবে না ওদের।” তিনি আরও বলেন, “আমার প্রতিবাদ ধিক্কারের ভাষা নেই। এর আগেও আমি সরব হয়েছিলাম এদের বিরুদ্ধে। গেটে অবস্থান করেছি। আমি ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, স্বরাষ্ট্র সচিব, সিপি, ডিসি সাউথকে জানিয়েছি। ওরা ফোর্স পাঠিয়ে আমায় রক্ষা করে। এর বিরুদ্ধে পুলিশ কেন পদক্ষেপ করছে না সেটা তারা বলতে পারবে।”
অভিযোগকারী পড়ুয়া বলেন, “বাইরের গ্রুপ। এরা তোলাবাজ। আমাদের সরস্বতী পুজো করা বন্ধ করতে চায়। তখন আমাদের মারধর ও ধর্ষণের হুমকি দেয়। আরও অনেক বাজে বাজে ভাষায় কথা বলে।” অভিযোগকারী আরও এক পড়ুয়া বলেন, “পুজো করার অধিকার সকলের আছে। তাহলে আমাদের বাধা দেয় কেন? আমাদের বলা হচ্ছে সরস্বতী পুজো করলে আনোয়ার শা দিয়ে গেলে মেরে ফেলে দেবে। এরা তোলাবাজি করছে?