heaker

Kolkata Digital Arrest : ডিজিটাল অ্যারেস্ট দেখিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে ১৪ দিন নজরবন্দি করে রেখেছিলেন প্রতারকরা (Digital Scam)। সব মিলিয়ে জালিয়াতদের ভয়ে ১৭ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন ওই ব্যক্তি।

বার বার সচেতন করেও হচ্ছে না কাজ। প্রতারকদের (Digital Fraud) ফাঁদে পা দিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ। এবার ফের কলকাতায় ঘটল ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest In Kolkata) ঘটনা। ডিজিটাল অ্যারেস্ট দেখিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে ১৪ দিন নজরবন্দি করে রেখেছিলেন প্রতারকরা (Digital Scam)। সব মিলিয়ে জালিয়াতদের ভয়ে ১৭ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন ওই ব্যক্তি।

কীভাবে ঘটেছে এই ঘটনা
গড়িয়াহাটের ওই বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিন ভাগে ওই টাকা নিয়েছে প্রতারকরা। প্রথমে ২৬ তারিখ ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি। পরে ২৭ তারিখ একই ভাবে নিয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। এর পরে গুগল পের মাধ্য়মে ডগদের ৫০ হাজার টাকা পাঠান তিনি। সব মিলিয়ে ১৭ লাখ টাকা গড়িয়াহাটের ওই বাসিন্দার থেকে নিয়েছে জালিয়াতরা। এরপর আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত স্ক্যামাররা।

কেন অজানা লোককে টাকা দিলেন
ডিজিটাল অ্য়ারেস্টের শিকার ওই ব্য়ক্তি জানিয়েছেন, ED-CBI দিল্লি পুলিশের নাম করে ১৪ দিন ধরে নজরবন্দি ছিলেন তিনি। কাউকে কিছু বললে অ্যারেস্ট করার হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকী বিষয়টি জানাজানি হলে তাঁকে খুন করাও হতে পারে। প্রাণের ঝুঁকির কথা শুনে একপ্রকার বাধ্য হয়েই টাকা দিয়েছিলেন। যদিও টাকা দেওয়ার পর ঠগদের আচরণে সন্দেহ হয় তাদের। ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার ওই ব্যক্তি দেখেন, কিছু মেসেজ পাঠালেও তাদের উত্তরে সাড়া দিচ্ছে না প্রতারকরা। এমনকি মেসেজ ‘সিন’ দেখালেও উত্তর আসছিল না।

কখন প্রতারণার বিষয়টা বুঝতে পারেন
এরপরই ওই ব্যক্তির স্ত্রী স্ক্যামারদের ফোন করতেই টনক নড়ে সবার। দেখা যায়, বার বার ফোন করলেও ওই নম্বরগুলি থেকে কোনও উত্তর আসে না। দিল্লি পুলিশ হেডাকোয়ার্টারস বা SBI বলে যে নম্বর থেকে ফোন আসত সেটিও ‘ডাস নট এক্সিস্ট’ বলছে। পরে সিবিআই ডিরেক্টর পরিচয়ে নীতিন পাওয়ার বলে যে ব্যক্তি ফোন করত তাকে ফোন করা হয়। হোয়াটস অ্যাপ , ভিডিয়ো কলে সে ফোন না ধরায় তাকে সাধারণ কল করা হয়। শেষে ওই নম্বর থেকে ফোন ধরেন এক মহিলা। যিনি জানা এটি আসলে হাওড়ার নম্বর।

ভয়কেই কাজে লাগায় প্রতারকরা
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৪ দিন ঘরবন্দি ছিলেন তিনি ও তাঁর পরিবার। ভয় দেখিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয় তাদের। বাইরে কিছু জানালে, জরিমানা, অ্যারেস্ট এমনকী প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এই ভয়েই কাউকে কিছু জানাতে পারেননিন তিনি।