৭ বছরের শিশু, ৭৯-র বৃদ্ধা, নয়াদিল্লিতে মৃত ১৮ জনের নাম প্রকাশ করল দিল্লি পুলিশ

ভুল ঘোষণার ফলেই পদপিষ্টের ঘোষণা বলে জানাল দিল্লি পুলিশ। প্রয়াগরাজ যাওয়ার দু’টি ট্রেনের নাম প্রায় একই! একটির নাম ‘প্রয়াগরাজ স্পেশাল’ এবং অন্যটি ‘প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস’। যার জেরে গোলযোগ হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এই ঘোষণার পরই হুড়মুড়িয়ে ভিড় ১৪ থেকে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে চলে যায়। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।

নয়াদিল্লি স্টেশনে শনিবার রাতে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতেরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার সকালে মৃত এই ১৮ জনের নাম এবং পরিচয় প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। দেখা যাচ্ছে, মৃতেরা অধিকাংশ হয় বিহার (ন’জন), অথবা দিল্লির বাসিন্দা (আট জন)। এক জন হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে সাত বছরের শিশু থেকে ৭৯ বছরের বৃদ্ধা— সব বয়সের মানুষ আছেন।

  • পিঙ্কি দেবী (৪১, সঙ্গম বিহার, দিল্লি)।
  • শীলা দেবী (৫০, সরিতা বিহার, দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি)।
  • ব্যোম‌ (২৫, বাওয়ানা, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি)।
  • পুনম দেবী (৪০, সারণ, বিহার)।
  • ললিতা দেবী (৩৫, পটনা, বিহার)।
  • সুরুচি (১১, মুজফ্‌ফরপুর, বিহার) ।
  • কৃষ্ণা দেবী (৪০, সমস্তিপুর, বিহার)।
  • বিজয় শাহ (১৫, সমস্তিপুর, বিহার)।
  • নীরজ (১২, বৈশালী, বিহার)।
  • শান্তি দেবী (৪০, নওয়াদা, বিহার)।
  • পূজা কুমার (৮, নওয়াদা, বিহার)।
  • সঙ্গীতা মালিক (৩৪, ভিওয়ানি, হরিয়ানা)।
  • পুনম (৩৪, মহাবীর এনক্লেভ, দিল্লি)।
  • মমতা ঝা (৪০, নাঙ্গলোই, পশ্চিম দিল্লি)।
  • রিয়া সিংহ (৭, সাগরপুর, দিল্লি)।
  • বেবি কুমারী (২৪, বিজওয়াসন, দিল্লি)।
  • মনোজ (৪৭, নাঙ্গলোই, পশ্চিম দিল্লি)।

এই ১৮ জনের মধ্যে কেউ কেউ কুম্ভ থেকে স্নান সেরে ফিরছিলেন, কেউ আবার কুম্ভের দিকে যাচ্ছিলেন। শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভযাত্রীদের ভিড়ে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, পর পর দু’টি ট্রেন সময়ে আসেনি। তৃতীয় ট্রেন স্টেশনে ঢুকতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। ভিড়ের ধাক্কায় লোকজন পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মাড়িয়ে চলে যান বাকিরা। রেলের তরফে ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাঁদের আঘাত গুরুতর, তাঁরা আড়াই লক্ষ এবং যাঁদের আঘাত ছোটখাটো, তাঁরা এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। শনিবারের ঘটনার তদন্তের জন্য দুই সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল।